Monday, 30 January 2017

ব্রাহ্মণ্যবাদী সমস্ত ধর্মগ্রন্হ তথা শাস্ত্রগ্রন্থ নারীবিদ্বেষীঃ



         ব্রাহ্মণ্যবাদী সমস্ত ধর্মগ্রন্হ তথা শাস্ত্রগ্রন্থ নারীবিদ্বেষীঃ
                                          প্রশান্ত-কুমার-মণ্ডল                                                                           সমাজে শূদ্র ও নারীরা, ব্রাহ্মণ ও তাদের বানানো কাল্পনিক দেবদেবীকে বেশী ভক্তি শ্রদ্ধা করেব্রাহ্মণ্যবাদী ষড়যন্ত্রকারীরা সফল, কারন তারা চেয়েছিল ভারতের বৃহত্তর অংশ(শূদ্র ও নারী)জাতিকে অশিক্ষার অন্ধকারে রেখে দাস বানাতে।যে জন্য তারা শূদ্র ও নারী জাতিকে শিক্ষার অধিকার দেয় নি।শূদ্র ও নারী জাতির কোন ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মশাস্ত্র পড়া দূরে থাক ছোঁয়ার অধিকার ছিল না।কারন একটাই,ব্রাহ্মণ্যবাদীরা অসংখ্য কাল্পনিক কাগুজে দেবদেবীর “বানী” বলে যাদের উপর অসংখ্য অমানবিক বিধিবিধান আরোপ করেছে,তারা তা যেন জানতে না পারে।ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই শূদ্র ও নারী শিক্ষার অধিকার পেয়েছেব্রাহ্মণকে ভক্তিশ্রদ্ধা করা‌,তাদের চরণামৃত খাওয়ার আগে জানা উচিত ঐ ব্রাহ্মণ শাস্ত্রকারেরা তাদের কেমন পশুতুল্য করেছে।ব্রাহ্মণ্যবাদীরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য অসংখ্য কাল্পনিক দেবদেবী বানিয়ে,সেই দেবদেবীর মুখ দিয়ে ভারতের বৃহত্তর অংশ শূদ্র ও নারী জাতিকে নীচ প্রতিপন্ন করেছে।নিম্নে শূদ্র নয় কেবল বিভিন্ন ধর্মশাস্ত্রে নারী অবমাননার কিছু নজির দেখুন।
                      নারী বিদ্বেষের কিছু নমুনাঃ
                         বৈদিক সমাজে নারীর স্থানঃ
বেদের সংহিতা ও ব্রাহ্মণগুলি পাঠ করলে বৈদিক সমাজে নারীর অবস্থা কেমন ছিলো সহজে অনুমান করা যায়।
       ১/তৈত্তিরীয় সংহিতা-(৬/৫/১০/৩)-সদ্যজাত শিশুকন্যাকে মাটিতে রাখা হবে এবং শিশুপুত্রকে উপরে তুলে ধরা হবে।
       ২/তৈত্তিরীয় সংহিতা (১/৩/১০/৫৮)এবং শতপথ ব্রাহ্মণ(৯/৪/১/৬)-এক পুরুষের বহুপত্নী বিধান আছে।
P
K
M
       ৩/তৈত্তিরীয় সংহিতা(৬/১/৮/৫))-বিবাহে কন্যাকে দানের বিধান।অর্থাৎ ছাগল,গরুর মতো কন্যাকে দান করা যায়।
       ৪/তৈত্তিরীয় সংহিতা(৬/১/৮/৫)-সন্তান জন্মের জন্যই শুধু পুরুষের নারীর প্রয়োজন।
       ৬/শতপথ ব্রাহ্মণ(৫/২/৩/১৩)- অপুত্রা পত্নী পরিত্যক্তা।
       ৮/মৈত্রায়নী সংহিতা(৩/৮/৩)-নারী অশুভ।
       ৯/তৈত্তিরীয় সংহিতা(৬/৫/৮/২)-যজ্ঞকালে কুকুর,শূদ্র,ও নারীর দিকে তাকাবে না।
       ১০/তৈত্তিরীয় সংহিতা(৬/৫/৮/২)-স্ত্রী্‌,শূদ্র,কুকুর ও কাল পাখী,এদের দেখো না নইলে শ্রী ও পাপ,জ্যোতি ও অন্ধকার এবং সত্য ও মিথ্যা মিশে যাবে।
       ১১/শতপথ ব্রাহ্মণ(১৮/১/১/৩১)-স্ত্রী, স্বামীর পরে খাবে।
              ১৩/ মৈত্রায়নী সংহিতা(৩/৬/১, ৪/৬/৭.......এবং শতপথ ব্রাহ্মণ(৪/৪/২/১৩) তৈতরীয় সংহিতা(৬/৫/৮/২)
ধন ও নিজ দেহের উপর নারীর কোন অধিকার নেই”
       ১৪/শতপথ ব্রাহ্মণ(২/৩/২।৮)  সেই ব্যক্তি ভাগ্যবান যার পশুর সংখ্যা স্ত্রী সংখ্যার চেয়ে বেশী”।
       ১৫/বিধবাকে মৃত স্বামীর সাথে পুড়িয়ে মারার আইন(অথর্ববেদ ১৮/৩/৩)।
       ১৬/পিতামাতার জন্য কন্যা সন্তান অভিশাপ (ঐত্তরীয় ব্রাহ্মণ ৬/৩/১৩)
       ১৭/লাঠি দিয়ে মেরে স্ত্রীকে দুর্বল করা উচিত যেন তার শরীরের উপর কোন অধিকার না থাকে (শতপথ ব্রাহ্মন (৪/৪/২/১৩)
       ১৮/সর্বগুনে ভরা নারীও অধম পুরুষের চেয়েও অধম (তৈত্তরীয় সংহিতা ৬/৫/৮/২)
       ১৯/সে নারী উত্তম যে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় এবং স্বামীর উপর কথা বলে না(ঐত্তরীয় ব্রাহ্মণ ৩/২৪/২৭)
 বেদের পুরুষসুক্ত………বর্নপ্রথার ভিত্তি মজবুত করতে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেন বেশীরভাগ পন্ডিতবেদে “পুরুষসূক্ত” স্বীকার করলে বেদে নারীরা সুখে ছিলো বলা যাবে না
উপনিষদ-বৃহদারন্যক ছান্দগ্য উপনিষদে বর্ণবিদ্বেষী শ্লোক বর্তমানবর্ণবিদ্বেষ ছিলো মানে নিম্ন বর্নের নারী সম্মানীয় ছিল বলা মুসকিল
রামায়ন- রাম কর্তৃক শূদ্র শম্বুক হত্যা প্রমান করে রামায়ণের কালে বর্নবিদ্বেষ জঘন্যরুপে ছিলোনিম্ন বর্ণের নারীরা সম্মান জনক অবস্হায় ছিল বলা যায় কী?তাছাড়া সীতার পরিনতিই প্রমান করে রামায়ণ নারীকে কেমন সম্মান দিয়েছে।
                       মূল মহাভারতে নারী বিদ্বেষী শ্লোক………………………
মূল মহাভারতে নারী নিন্দার প্রচুর উদাহরণ আছেঃ-                                                                                                  (/১৫৯/১১) নারী অশুভ সমস্ত অমঙ্গলের হেতু্‌,কন্যা দুঃখের কারন
(১২/৪০/)  ভীষ্ম যুধিষ্ঠরকে বলেন, নারীর চেয়ে অশুভ আর কিছু নেই
P
K
M
(১২/৪০/) নারীর প্রতি পুরুষের কোন স্নেহ মায়া মমতা থাকা উচিত নয়
(/৩৩/৩২)পূর্ব জন্মের পাপের ফলে এজন্মে নারী হয়ে জন্মাতে হয়
(/৩৭/২৯) নারী সাপের মতো কখনোই পুরুষ নারীকে বিশ্বাস করবে না
(১২/২০/২০) পৃথিবীতে কোন নারী স্বাধীনতা পাওয়ার যোগ্য নয়
১০ (/৩০/৯০) স্ত্রী শূদ্রকে বিশ্বাস করা উচিত নয়
১১ (১২//) যুধিষ্ঠির বলেন নারীর দ্বারা বংশ কলঙ্কিত হয়
১২।(৫/১১৮-২২)-অর্থদানে অক্ষম পিতা কুমারী কন্যাকে দান করছে।
১৩।(১৫/১৪/৪)-বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হস্তী,হিরণ্য,রথ-অশ্ব-ভূমি ইত্যাদির সাথে নারীকে দানের কথা আছে।
অশ্বমেধপর্ব(৮০/৩২)-রাজা শরদিন্দু তাঁর অশ্বমেধ যজ্ঞে হাজার হাজার নারীদান করেন।অর্থাৎ যজ্ঞ,শ্রাদ্ধ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দানের তালিকায় নারী অবশ্যই থাকতো।
দ্রোনপর্ব(৬৫/৬)-ভগীরথও সুসজ্জিত সুন্দরী নারী দান করেন হাজারে হাজারে।
১৪।((১২/১৪৬/৮৮)-যে নারী স্বামী ছাড়া কোনো পুংলিঙ্গবাচক বস্তু যেমন চন্দ্র,সূর্য,বৃক্ষ দর্শন করে না সে ধর্মচারিনী।
         গীতায় নারী বিদ্বেষ……………
১২শ্লোক--৩২  স্ত্রী্‌,বৈশ্য,শূদ্র চন্ডাল পাপযোনী সম্ভূতঅর্থাৎ জারজ সন্তান।                                 পুরাণে নারী বিদ্বেষকেবল একটি পুরাণে নারী বিদ্বেষের নমূনা দেখলেই  আর দেখতে ইচ্ছা করবে না কেবল ব্রহ্মবৈর্বত পুরাণে  নারী বিদ্বেষ দেখুন
        ব্রহ্মবৈর্বরত পুরাণ-বেদব্যাস বিরচিত
      ভাষান্তর-অধ্যাপক জগৎ লাহা
 কৃষ্ণের কথায় শিব নারী গ্রহন করতে অস্বীকার করে নারীর চরিত্র বর্নন করেনঃ(ব্রহ্মখন্ড অধ্যায়-৬)
১৩নারী মোহিনী মূরতী থেকে বিষধর সর্পিনী
১৪নারী সাধন পথের কন্টক স্বরুপা
১৫নারী ধর্ম পথের বিঘ্ন
১৬নারী আত্মতত্ব পরতত্ব নাশকারী
১৭নারী মোক্ষবাঞ্চা বিনাশিনী
১৮নারী সুবুদ্ধি নাশ করে
১৯নারী দুর্বুদ্ধি জাগ্রত করে
২০ নারী ভোগবাসনায় প্রলুব্ধ করে
          ব্রহ্মাপুত্র, নারদ কে বিবাহ করতে বললে নারদঃ-
নারী জাতির নিম্নলিখিত দোষের কথা বলেন………………………………..
            ব্রহ্মখন্ড অধ্যায় ১২.......................
২১সাধ্বী নারী কেবল পরকালের ভয়ে পতিপদে থাকে
২২ভোগা নারী কেবল কাম পরিতৃপ্তির জন্য স্বামীর সেবা করে
২৩যতক্ষন বস্ত্র, অলংকার দিতে পারবে ততক্ষন স্বামী ভক্তি থাকে
২৪নারী কপটতা সহ স্বামীর সেবা করে
২৫কামাতুরা অসতীনারী সর্বদা উপপতীর সন্ধান করে
২৬পন্ডিতেও নারীর মন বুঝতে পারে না
২৭নারীর বদন সুন্দর অন্তরে ক্ষুরধার
২৮বাক্যে সুধাবর্শন কিন্তু ক্রোধ প্রকাশের সময় উদগার করে বিষ
২৯নারীর কাম শক্তি পুরুষের চেয়ে গুন বেশী
P.K.M
৩০পুরুষের চেয়ে নারীর নিষ্ঠুরতা গুন বেশী
৩১নারীকে কখনো বিশ্বাস করতে নেই
৩২রমনী বিষ্ঠা মূত্র ক্লেদের আধার
৩৩নারী সম্ভোগে শরীর অবশ হয় তেজ শক্তি যশ লুপ্ত হয়
৩৪নারীর সঙ্গে প্রনয়ে পৌরুষ ধন ক্ষয় হয়
৩৫ স্বামী বৃদ্ধ হলে, রোগী‌,নির্ধন হলে নারী অবহেলা করে
০০পুরুষের চেয়েনারী গুন বেশী আহার করে
Ø সতী তুলসীর মুখে নারী চরিত্র……………………………..
   প্রকৃতি খন্ড অধ্যায় ১৬ঃ.................................
৩৬নারীর মুখে মধু অন্তরে বিষ
৩৭স্বকার্য সাধনে পুরুষের বশ হয় কার্য সিদ্ধি হলে আর পুরুষের বাধ্য থাকে না
৩৮নারীর বদন প্রফুল্ল অন্তর মলিন
৩৯নারীর বাহির সুন্দর অন্তর কুৎসিত
৪০অন্তরে কামভাব বাহিরে লজ্জাশীলা ভাব
৪১নিজের ভর্তাকে গোপনে পেলে লজ্জাশরম ভুলে গ্রাস করতে আসে
৪২ছলনাময়ী নারী কোপ কলহের অংকুর স্বরুপা
৪৩মৈথুনের পরিমান কম হলে নারী কখনো তুষ্ট থাকে না
৪৪অনেক কিছু ছাড়তে পারে কিন্তু রুপবান পুরুষের সঙ্গ ছাড়তে পারে না
৪৫যে ব্যাক্তি তাকে রতি সুখ দিতে পারে সে প্রানের প্রিয় হয়
৪৬পতি বৃদ্ধ হলে নারী তাকে শত্রু জ্ঞান করে প্রত্যহ কলহ করে
৪৭নারী কৃকলাসের ন্যায় স্বামীকে শোষন করে
৪৮নারীর দোষে সংসারে অশান্তি হয়
৪৯সমস্ত নারী কপটিনী বিশ্বাসের অযোগ্য
৫০নারী রুপ পুরুষের মনে মোহ সৃষ্টি করে‌,দেবতারাও নারী ত্যাগ করতে পারে নি
৫১সব কামিনীই ইন্দ্রজাল স্বরুপিনী
Ø নারায়ন নারদকে নারী চরিত্র বর্ননা করছেন……………………………
৫২কুলটা নারী কেবল শৃঙ্গার সুখেই তুষ্ট থাকে
৫৩স্বামী পুত্র বন্ধুর সাথে কপটোতার আচরণ করে
৫৪এ জগতে ভোগ শেষে সবাই উদ্ধার পায় কিন্তু অসতীর কোন গতি নাই
৫৫ত্রিভূবনে যত পাপ আছে অসতীর মধ্যে সমস্ত পাপ বিরাজ করে
৫৬কুলটার অন্ন বিষ্ঠা তুল্য
৫৭কুলটার জল মূত্রতুল্য
৫৮যাত্রাকালে অসতী দেখলে যাত্রা নাশ হয়
৫৯কুলটার স্নান দান,জপ,তপ,দেবপূজা,ব্রতপালন সবই বৃথা
     ধর্মীয় শাস্ত্রগুলির মধ্যে শূদ্র নারী বিদ্বেষে সবার উপর হল-মনুসংহিতা-
Ø মনুসংহিতার  অসংখ্য নারী বিদ্বেষী শ্লোকের মধ্যে কিছু…………………………..
৬০৯ম/-নারীদের কুমারী অবস্হায় পিতা,যৌবনে স্বামী, বার্ধক্যে পুত্রগন রক্ষ্যা করবে নারী কখনো স্বাধীনভাবে থাকার যোগ্য নয়
৬১৯ম/১৪-এরা রুপ বিচার করে না্‌,বয়স বিচার করে না,সুরুপ বা কুরুপ যাই হোক না কেন পুরুষ পেলেই ভোগের জন্য অস্হির হয়ে ওঠে
৬২৯ম/১৭-শয়ন,উপবেশন,অলংকা্,কা্,ক্রো্,কুটিলতা,পরহিংসা কদাচার এসব স্ত্রীলোকের স্বভাবগত
৬৩৯ম/১৮-নারীদের শাস্ত্রমতে সংস্কার হয় না তাই এদের চিত্তশুদ্ধি ঘটে না এরা মিথ্যার ন্যায় অশুভ
৬৪২য়/২১৩-ইহলোকে পুরুষদের দূষিত করাই নারীদের স্বভাব
৬৫৯ম/১৫-পুরষ দর্শনেই ভোগমত্ততা হেতু এরা চঞ্চলচিত্ত এবং স্নেহশূন্য এজন্য স্বামী কর্তৃক সুরক্ষিতা হলেও তারা স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়
৬৬৮ম/৩৭১-যে স্ত্রী সমৃদ্ধির গুনে দর্পিতা হয়ে স্বামীকে লঙ্ঘন করবে এবং পরপুরুষের ভজনা করে তবে রাজা তাকে কুকুর দ্বারা ভক্ষণ করাবেন
৬৭৫ম/১৪৭-নারী বালিকা হোক,যুবতীই হোক বা বৃদ্ধাই হোক গৃহে থেকে পিতা্‌,পতি বা পুত্রের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ স্বাধীন ভাবে করতে পারবে না
৬৮/৪/২০৬-নারী কর্তৃক অনুষ্ঠিত যজ্ঞ অপবিত্র।
             আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র(১/১০-৫১-৫৩)-নিঃসন্তান বধূকে ত্যাগ কর।
            আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র(১/৯/২৩-৪৫)-কালো পাখি,শকুনি,নেউল,ছুঁচো ও কুকুর হত্যা করলে যে প্রায়শ্চিত্ত,নারী ও শূদ্র হত্যাতে ও একই প্রায়শ্চিত্ত।
             আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র(২\৫\১১-১৪)-পুত্র সন্তান জন্ম দিতে না পারলে স্ত্রী পরিত্যাগ করো
                         আপস্তম্ভ ধর্মসূত্র(২/১০/২৭/৩)-বিবাহে কন্যাকে দানের বিধান।অর্থাৎ ছাগল,গরুর মতো কন্যাকে দান করা যায়।
   আরো অনেক আছে পড়ুন মনুসংহিতা,অপস্তম্ভ ধর্মসূত্র,পরাশর সংহিতা,বিষ্ণু সংহিতা,গৌতম ধর্মসূত্র............... ধর্মশাস্ত্র ও দেবদেবীর প্রতি নারীজাতির অগাধ ভক্তিশ্রদ্ধা।ধর্মশাস্ত্র নারীদের জন্য কি বিধান দিয়েছে তা  জানা উচিত নয় কী?ব্রাহ্মণ ও তাদের তৈরী হাজার হাজার দেবদেবীর প্রতি যতদিন নারীজাতির এই অন্ধভক্তি থাকবে ততদিন পর্যন্ত নারীজাতি ঠকতে থাকবে।বাড়ীতে ব্রাহ্মণ এলে দেখা যায় নারীরা পরমভক্তিতে ব্রাহ্মণের পা ধোয়াচ্ছে ও আঁচল দিয়ে পা মুছিয়ে দিচ্ছে।ধর্ষিতা হয়ে ধর্ষকের পা ধোয়ানোর মতো।কারণ সমস্ত ধর্মশাস্ত্র গ্রন্থে শূদ্র ও নারীজাতির মানবতাকে ধর্ষণ করেছে ব্রাহ্মণ্যবাদী সমাজ।শূদ্র ও নারী জাতির উচিত ধর্মশাস্ত্র গ্রন্থগুলি পড়া ও জানা, তাহলে তারা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের মতো বিষাক্ত সাপকে চিনতে পারবে।কারণ মহাভারতে ব্রাহ্মণকে সাপের চেয়ে বিষাক্ত বলা হয়েছে।
 PRASANTA KUMAR MONDAL
     ঃমতামত ব্যক্তিগতঃ
                                     

No comments:

Post a Comment